প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনার রায়ে অসন্তোষ দুদকের
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে দেওয়া ২১ বছরের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের আইনজীবী মো. মইনুল হাসান বলেন, 'শেখ হাসিনাসহ আসামিদের আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছিলাম, আমরা সেটা পাইনি। দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে, এই মামলার আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।'
অন্যদিকে তিন মামলায় একবছর করে তিন বছর সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র কারাগারে থাকা আসামি খোরশেদ আলম রায়ের পর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি ন্যায়বিচার পাইনি।'
ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। পাশাপাশি ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
এদিকে, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
এছাড়াও, তাকে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২১ জনের রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, রায় শেষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবীরা।
রায়ের অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মইনুল হাসান বলেন, 'শেখ হাসিনাসহ সব আসামির আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছিলাম, আমরা সেটা পাইনি। দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে, এই মামলার আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।'
রাষ্ট্রপক্ষের অপর আইনজীবী সুলতান মাহমুদ বলেন, আদালত বলেছেন যে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি। শুধু মাত্র দুদকের আইনের ৫(২) ধারা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাজা হয়েছে। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৬১, ৪০৯,১০৯ ধারা প্রমাণিত হয়নি। শুধুমাত্র দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ও দুদক আইনের ৫ (২) ধারা প্রমাণিত হয়েছে। এই রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট।
এদিকে, কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি খুরশীদ আলম রায়ের প্রতিক্রিয়া বলেছেন, আমি এই মামলায় নির্দোষ। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আপিলের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবো।
