শেখ হাসিনা-কামালকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে নোটিশ পাঠানো হবে; প্রসিকিউটর তামিম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তামিম বলেন, 'ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কম্পেনসেশনের রায় দেওয়া হয়েছে। এখন এ রায়ের কপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গেলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে এর কোন অংশ কীভাবে কার্যকর করবেন। তবে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে আগেই একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ রেড নোটিশ জারির আবেদন করা আছে।'
তিনি বলেন, 'এখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বদলে কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানামূলে ইন্টারপোলে আরেকটি নোটিশ জারির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। তাদের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে। এ নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে প্রসিকিউশন।'
তিনি আরও বলেন, 'পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ঘোষণা হয়েছে গতকাল (সোমবার)। এ রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি পাবে প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিও পাবেন।'
তামিম বলেন, 'এছাড়া পলাতকরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তারাও একটি কপি পাবেন বিনামূল্য। এটার কার্যকরিতার জন্য এ রায়ের আরেকটি কপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তথা ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে যাবে। এসব রায়ের শেষে উল্লেখ রয়েছে।'
কবে নাগাদ রায়ের কপি যাবে; এ প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, 'গতকাল (সোমবার) রায় ঘোষণা হয়েছে। এখন এ রায়ের কিছু অফিসিয়াল কার্যক্রম রয়েছে। সেসব সম্পন্ন হলেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে।'
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে করা মামলায় এটিই প্রথম রায়।
