সিটি, ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে সংঘাত এড়াতে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থিত ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত এড়াতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজের আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এক মিলনমেলায় এ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউমার্কেট থানা এ মিলনমেলার আয়োজন করে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ সদস্যের কমিটিতে থাকবেন তিন কলেজের একজন করে মোট তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি, তিনজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং ধানমন্ডি, কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানার তিনজন প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড–কে বলেন, 'আমরা আশা করছি আর সংঘাত হবে না। সংঘাত হলেও যেন আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি, সেজন্যই এ উদ্যোগ। আমরা শিক্ষার্থীদেরও কমিটিতে রেখেছি। শিক্ষার্থীরাও এ উদ্যোগে আনন্দিত, তারাও চায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে।'
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজি নেয়ামুল হক এবং আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেযওয়ানুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, 'ঢাকার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এ তিনটা কলেজ অবস্থিত। তিনটা কলেজই স্ব স্ব মহিমায় উদ্ভাসিত। কিন্তু একজনের ইউনিফর্ম দেখছি- ছেলেটা ঢাকা কলেজের, গিয়ে তাকে মারলাম বা ছেলেটা সিটি কলেজের তাকে গিয়ে মারলাম; কোনো কিছু যাচাই বাছাই না করে, সে কে তাও জানি না, হয়তো কী ঘটনা ঘটেছে ছেলেটা জানেও না কিন্তু তাকে ইচ্ছেমতো মার দেওয়া হলো- এসব বিষয় থেকে আমাদের দূরে সরে আসতে হবে। অতীতে যা হয়েছে ভুলে গিয়ে এখন থেকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।'
