কিউকমের সিইও রিপনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণা করার অভিযোগে করা মামলায় জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১১ নভেম্বর আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার আনিসুর রহমান মোড়ল।
আদালত ওইদিন কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানি জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
এদিন, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে এক দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কৌশলে এড়িয়ে যায় এবং উল্টো বিভ্রান্তমূলক উত্তর দেয়। আসামি অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির। জিজ্ঞাসাবাদে উল্টোপাল্টা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
আসামির বিরুদ্ধে এ মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাটি তদন্তাধীন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাসহ পুনরায় এরকম কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটবে। এমতাবস্থায় মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে মামলার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহ, মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অজ্ঞাতনামা আসামি শনাক্ত ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও সঙ্গে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে, ১১ নভেম্বর রাতে খিলক্ষেত থানা এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান কিউকম.কম নামে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতেন।
২০২১ সালের ৩০ মে থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কিউকম ডটকমের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বাদীসহ ৩৪ জন আকৃষ্ট হয়ে আসামিদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট কেনার জন্য সর্বমোট ১ কোটি ৩০ লাখ ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা দেন।
শর্ত অনুযায়ী ৭ থেকে ৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত বাদীসহ অন্যানা ভুক্তভোগীদের কোনো বাইক বা প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি। গত ৪ বছর যাবৎ আসামিরা প্রোডাক্ট দিবে দিবে বলে কালক্ষেপণ করেছেন।
পরবর্তীতে আসামিদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে আসামিরা নানান রকম হুমকি, ধামকি এবং মামলার ভয় দেখিয়ে আসছেন। ওই ঘটনায় গত ২ আগস্ট সুজন মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডায় থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
