মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ৩১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৫ জনের নামে মামলা
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাগুলো দায়ের করেন।
এসব মামলায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ১৮ হাজার ৫৬৩ জনের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ৫ গুণ বেশি অর্থ আদায় করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সেলিব্রেটি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে তিন হাজার ৪৮৬ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারিদা বানু ও এমডি আব্দুল হাইকে প্রথম মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অদিতী ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে তিন হাজার ৮৫২ জনের কাছ থেকে ৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিশ্বজিৎ সাহার নামে দ্বিতীয় মামলা হয়েছে।
রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে তিন হাজার ১৪৮ জনের কাছ থেকে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ বশির বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করা হয়েছে।
আর আর ভিং এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৮ হাজার ৭৭ জনের কাছ থেকে ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হেফজুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নামে চতুর্থ মামলা করা হয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর দেশটিতে কর্মী পাঠাতে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর আগে গত ১১ মার্চ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ১১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩২ জনের বিরুদ্ধে ও ১৪ সেপ্টেম্বর ১১৫৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া৷ ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে দেশটি।
