চট্টগ্রামে বিএনপির জনসংযোগে গুলি করে সরোয়ার হত্যায় গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর জনসংযোগে গুলি করে 'সন্ত্রাসী' সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়া এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর চান্দগাঁওয়ে র্যাব-৭ এর ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- হেলাল হোসেন ওরফে মাছ হেলাল ও আলাউদ্দিন। গ্রেপ্তার দুজনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৭- এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বায়েজিদের হাজিরপুল এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুজন র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন। তবে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীসহ মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে চলাফেরার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব আরও জানায়, তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে রিমান্ডের প্রয়োজন রয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন শুক্রবার বিকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের হস্তান্তর করা হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।'
এর আগে গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর চালিতাতলী খন্দকারপাড়ার জনসম্মুখে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ'র নির্বাচনি জনসংযোগের সময় প্রকাশ্যে পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে খুন করা হয়। এসময় এরশাদ উল্লাহসহ আরেও দুজন আহত হয়েছেন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
সরোয়ার হোসেন বাবলার বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের বাদী বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বায়েজীদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিদেশে পলাতক 'সন্ত্রাসী' সাজ্জাদ আলীসহ সাতজনের নামোল্লেখ করে ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলাটিতে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, 'এরশাদ উল্লাহ'র প্রচারণার সময় সংঘটিত ওই গুলিবর্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল সরোয়ার হোসেন বাবলা।'
অন্যদিকে, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে একইস্থানে গুলিবিদ্ধ হন মো. ইদ্রিস আলী নামে এক এক অটোরিকশাচালক।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় আরমান আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে গুলি করার সঙ্গে 'সন্ত্রাসী' শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা ও মিজান জড়িত।
