৭ কলেজ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডার সমন্বয় পরিষদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক জটিলতার সমাধানে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে 'বৈষম্যবিরোধী অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডার সমন্বয় পরিষদ'।
তারা বলেন, 'এক্ষেত্রে গণভোটে নয়, শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের আলোকে এবং অংশীজনদের মতামতকে গুরত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষকে সাত কলেজ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, 'শিক্ষানীতিতে পরীক্ষামূলক সিদ্ধান্ত বা অনুমাননির্ভর কোর্স পরিচালনা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।'
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, 'ঢাকা মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ নিয়ে শিক্ষাখাতে নতুন সংকটের সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সাতটি কলেজসহ সারাদেশের সব কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। কোনো ধরনের স্টাডি ছাড়াই কেবলমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল।'
তারা উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীরা প্রথমে খুশি হলেও কিছুদিনের মধ্যেই অব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও অবহেলার অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে, যেখানে শিক্ষা ক্যাডারের কাউকে রাখা হয়নি। বক্তারা বলেন, 'মূল স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) এড়িয়ে গিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করায় সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।'
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। কেউ স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, কেউ বিপক্ষে। নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া একটি মহল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লোভ দেখিয়ে নিজেদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলেও শোনা যায়, যা বক্তাদের ভাষায় 'অত্যন্ত দুঃখজনক।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি স. ম. গোলাম কিবরিয়া, ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন প্রমুখ।
