১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে থাকবেন না ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন
আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করবেন না ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি যে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম, গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে একজন রয়েছেন। তাই আর আইনি লড়াইয়ে থাকছি না।'
পরে তিনি টিবিএসকে বলেন, 'আমি গুমের অভিযোগে যে মামলা করেছি, তার মধ্য থেকে আসামী এই ১৫ জনের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও এরকম ঘটনায় বার কাউন্সিল আইন অনুযায়ী আমি তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারবো না। ফলে এই ১৫ জনের পক্ষের আইনজীবী থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।'
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল ও গুম কমিশনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাদেরই একজন এই ১৫ জনের মধ্যে গ্রেপ্তার আছেন।
এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সরোয়ার।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) সংঘটিত গুম, আটক ও নির্যাতনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
টিএফআই সেলের মামলায় ১৭ জন এবং জেআইসি সেলের মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুই মামলায় সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৪ জন সেনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত।
ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী, ২১ অক্টোবরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবর আদালতে হাজির করার নির্দেশনা ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদর দপ্তর জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে তারা হেফাজতে নিয়েছে। পরদিন ১২ অক্টোবর সরকার ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
