জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড: বর্ষাসহ ৩ জনের দোষ স্বীকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার জোবায়দের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষাসহ তিনজন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি দেওয়া অন্য দুজন হলেন, বর্ষার প্রেমিক মো. মাহির রহমান ও তার বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে মাহির, মাসুম মিয়ার আদালতে বর্ষা ও জুয়েল রানার আদালতে আয়লান জবানবন্দি দেন। মাহিরের বন্ধু প্রীতম চন্দ্র দাস এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এই তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তিন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালত জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশানি করাতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাসায় টিউশানি করাতে যান।
ওইদিন সন্ধ্যায় বর্ষা ফোন করে জোবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারে জোবায়েদ খুন হয়েছেন বলে জানান। এ ঘটনায় জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেন।