আগুন নিয়ন্ত্রণের ৭ ঘণ্টা পর শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনায় প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টার পর থেকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আগুনের কারণে ঢাকা থেকে যেসব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া (ডাইভার্ট) হয়েছিল, সেগুলো এখন স্বাভাবিকভাবে ঢাকায় ফিরেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচলের পাশাপাশি অন্যান্য কার্যক্রমও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ৯টা ৬ মিনিটে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের একটি বিমান শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর একে একে ডাইভার্ট হওয়া অন্যান্য ফ্লাইটগুলোও ঢাকায় ফিরতে শুরু করে।
এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একাধিক ফায়ার ইউনিটও যোগ দেয়।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে ২৫ জন আনসার সদস্য আহত হন। তাদের দ্রুত সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, আগুন লাগার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাই ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেলে গতকাল বিকেলে ঢাকাগামী অন্তত ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
অবতরণ করা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, আর বাকি ছয়টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট—এরমধ্যে তিনটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের, একটি এয়ার এরাবিয়ার মধ্যপ্রাচ্য থেকে ঢাকার ফ্লাইট এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট ছিল।
এছাড়া, সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শাহজালালে আগুনের কারণে এ সময় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি ফ্লাইট যথাসময়ে ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
ঢাকার বিমানবন্দরে আগুন লাগার ঘটনায় শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক কিছু ফ্লাইট আশেপাশের দেশেও ডাইভার্ট করে দেওয়া হয়।
এদিকে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে কেবল আমদানি করা পণ্য মজুদ ছিল। রপ্তানি পণ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।
কার্গো ভিলেজ ব্যবহার করে মূলত হালকা যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের আমদানি এবং তৈরি পোশাক ও নমুনা, অল্প পরিমাণ অ্যাক্সেসরিজ, দলিলপত্র ও পারসেল আমদানি বা রপ্তানি করা হয়ে থাকে।