রাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় জামায়াত–বিএনপির জমায়েত, রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মতি শাহার মাজারের পেছনে ছোট ছোট কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। তাদের পেছনে সামিয়ানা টাঙিয়ে ১০-১২ টি পাতিলে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন ৫-৬ জন ব্যক্তি। এদের একজন লিটুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ী।
এ আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টিবিএসকে বলেন, 'মাঠে যারা আছে তারা সবাই জামায়াতের কর্মী। দীর্ঘ তিন দশক পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে। সবাই এখানে বসে উপভোগ করছি, সবাই এক সাথে খাবো তাই এ আয়োজন।'
মাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার ফুটপাতের ওপর অবস্থান করছে মতিহার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাবুর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাধারণ বলেন, '৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে সব ছুটি। তাই এক সাথে বসে উপভোগ করছি।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে অস্ত্র বিতরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।
তিনি এক ফেসবুক পোস্টে একটি ভিডিও সংযুক্ত করে লেখেন, 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের বিপরীতে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র বিলি করছে জামায়াত শিবিরের লোকজন।'

তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের টাইমলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, '১২ থেকে ১৪ জন ব্যক্তি এক জায়গায় জড়ো হয়ে আছেন। একজন তাদের মধ্যে কিছু একটা দিচ্ছেন।'
অস্ত্র বিতরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে কর্মী পরিচয় দেওয়া লিটু বলেন, 'সকাল থেকে আছি সবাই। অস্ত্র কোথায় আপনারাই দেখেন... এসব কথা যারা বলে তাদের উচিত এখানে এসে দেখে যাওয়া।'
মাঠের পাশে অবস্থান নেওয়া মতিহার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাবু বলেন, 'অস্ত্র বিলির বিষয়টি আমি দেখিনি। তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখেছি। এটি ক্লিয়ার না।'