সন্ত্রাসবিরোধী মামলা: সাবেক এমপি বুবলীসহ ১৭ জন রিমান্ডে
রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীসহ ১৭ জনের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন। মামলার এজাহারনামীয় ৯ আসামির ৩ দিন এবং সন্দিগ্ধ আট আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এজাহারনামীয় ৯ আসামি হলেন- সিরাজগঞ্জের মাধাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাইবুর রহমান নাইস, গাজীপুরের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোল্লা, সোলাইমান মিয়া, মো. আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, সিহাব শাহরিয়ার, আওয়ামী লীগকর্মী মামুন, ইনজামুল হক এবং ছাত্রলীগকর্মী ফরহাদ পালোয়ান।
সন্দিগ্ধ ৮ আসামি হলেন- সাবেক এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুল হক হিরক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ও শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের নেতা মো. আলম মাদবর, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক শাকিল, আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম সুমন এবং মো. সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ হোসেন বাবু।
এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এজাহারনামীয় ৯ আসামির ৩ দিন এবং সন্দিগ্ধ ৮ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এজাহারনামীয় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্দিগ্ধ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুবলীকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৯ সেপ্টম্বর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানার ডেইলি স্টার-পত্রিকার সামনে থেকে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে পান্থপথ অভিমুখে ঝটিকা মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন আসামিরা। তারা জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পলায়নরত অবস্থায় ২৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানার এবং চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে পুলিশ।
এই ঘটনার পরের দিন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের ২৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
