জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন

৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবনা সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চতুর্থ দিনের মতো আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রোববার (৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হয়।
আজকের আলোচনায় মূলত সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্য কতটা কমেছে, তা শুনবে কমিশন। দলগুলো চাইলে বিশেষজ্ঞদের সুনির্দিষ্ট ও পরিমার্জিত পরামর্শও প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে পারে কমিশন।
কমিশন ঐক্যমতের বিষয়ে আশাবাদী হলেও দলগুলো এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেও দলগুলো নিজেদের মধ্যে কাঙ্খিত সমঝোতা করতে পারেনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০দিনের ব্যবধানে বৈঠক হতে যাচ্ছে। আশা করছি দলগুলো মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে আরো কাছাকাছি অবস্থান করবে। আমরা আশা করছি আগামীকালের বৈঠকে সবকিছু সুরাহা হবে। তবে সময়ের প্রয়োজন হলে আরও একদিন বৈঠক হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌছাঁতে না পারলে কিভাবে সুপারিশ করবে এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা ১০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৩টি সুপারিশ করবো। যা আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতের প্রতিফলনের সমন্বয়ে করা হবে।
দলগুলোর অনড় অবস্থানের ব্যাপারে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তারা বাইরে কি বলছে সেটা অবশ্যই রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্ব রাখে তবে আমাদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কমিশনের বৈঠকে তাদের মতামতটা কি আসছে।
কমিশন নতুন কোন প্রস্তাব দিবে কি না এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে দলগুলোর কাছে জানতে চাইবো। তারপর প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামতের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তাব দেওয়া হবে। সকালে কমিশন প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করবে। এরপর কমিশনের বৈঠক শুরু হবে।
জানা গেছে, বিএনপি ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণে মত দিয়েছে, জামায়াত সংবিধান আদেশ জারি করা এবং এনসিপি গণপরিষদের বিষয়ে অটল আছে। তবে কমিশন তিনটি প্রস্তাবকেই সমন্বয় করার চেষ্টা করছে।