১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং পাহাড়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে

আগামী ১ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের শেষের দিকে সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, 'হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি সামনে রেখে পর্যটক ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ এবং জেলার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
জেলা প্রশাসক জানান, জেলার সার্বিক পরিস্থিতিসহ সব দিক বিবেচনা করেই কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় পর্যটক ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিদ্যমান নিয়মকানুন মেনে পর্যটকেরা সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন।
জেলার আবাসিক হোটেল-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'গত ৬ জুন রুমার বগালেক এবং থানচির তিন্দু ও তমাতুঙ্গি এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও কেওক্রাডং পাহাড় পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল।'
তিনি আশা প্রকাশ করেন, কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হলে পর্যটক প্রবাহ আরও বাড়বে। পাশাপাশি থানচি উপজেলার রেমাক্রি ও নাফাখুম পর্যটন স্পটও খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক জানান, রেমাক্রি ও নাফাখুম এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ওই এলাকার সকল পর্যটন স্পটও খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রুমার কেওক্রাডং পাহাড় ও থানচির রেমাক্রি জলপ্রপাত এলাকায় তা বহাল থাকে।
তিন বছর পর এবার ১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং পাহাড় ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।