সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ে হামলা: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ২ জন রিমান্ডে
ঢাকার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ে হামলা করে সাত জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় রমনা থানার হত্যাচেষ্টার মামলায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন এবং মনিরুজ্জামান সিকদার ওরফে বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান নাহিদ তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজিব সরকার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের রাজধানীর মালিবাগ বাজার ও বাবুবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের দুই দিনের জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে আসামি আকাশ ও রুমন ধূমপান করছিলেন। সোহাগ পরিবহনের তিন কর্মচারী তাদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে বিল্লালের নেতৃত্বে অন্যান্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোহাগ পরিবহনের মালিকের বাড়ির গ্যারেজের সামনের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের কাচ ভেঙে ফেলেন।
এসময় সোহাগ পরিবহন কোম্পানির মালিকের ভাই ও কোম্পানির পরিচালক আলী হাসান তালুকদার, তার গাড়িচালক মাসুদ, কোম্পানির কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা সোহাগ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রির ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করেন।
এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা বিল্লালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৮-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
