সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদ কেন আদালতে চ্যালেঞ্জযোগ্য নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত একইসঙ্গে জানতে চেয়েছেন কেন বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন এবং ফরিদপুরে একটি আসন পুনরায় বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। তাদের সামনে আজ দুইটি পৃথক রিট আবেদন শুনানি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রুলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগামী দশ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৫ (ক) বলা হয়েছে, 'এই সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বা প্রণীত বলিয়া বিবেচিত নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ, কিংবা অনুরূপ নির্বাচনী এলাকার জন্য আসন-বণ্টন সম্পর্কিত যে কোনো আইনের বৈধতা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।'
বলা হয়েছে, 'সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের দ্বারা বা অধীন বিধান-অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট এবং অনুরূপভাবে নির্ধারিত প্রণালীতে নির্বাচনী দরখাস্ত ব্যতীত নির্বাচন বা সংসদের কোনো নির্বাচন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।'
এতে আরও বলা হয়েছে, 'কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না।'
বাগেরহাট আসন কমানোর রিটে সুপ্রিম আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, আদালত জানতে চেয়েছেন কেন বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল থাকবে না এবং আসন কমিয়ে চার থেকে তিনটি করা ইসির গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।
বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি রিট দুটি দায়ের করেন।
রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।
আরেকটি রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি বলেন, ফরিদপুর-৪ আসন (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সেগুলোকে ফরিদপুর-২ আসনের (নগরকান্দা ও সালথা) সঙ্গে যুক্ত করা গেজেট কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট জারি করে, যেখানে ৩০০টি সংসদীয় আসনসহ ফরিদপুর ৪-এর সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে।