ফরিদপুরের আসনসীমা পরিবর্তনের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ফরিদপুরের আসনসীমা পরিবর্তন সংক্রান্ত গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গেজেটে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সেগুলো ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালত রুল দিয়েছেন। সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদ কেন সাংবিধানিক পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, নির্বাচনি আইনের ৭ নম্বর ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশ্লিষ্ট গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—সে বিষয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দাদের পক্ষে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলাল গেজেট বাতিল চেয়ে ইসিতে আইনি নোটিশ পাঠান। নির্ধারিত সময়ে সাড়া না মেলায় পরে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।
সেখানে ফরিদপুর-৪ আসন (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে সেগুলো ফরিদপুর-২ আসনের (নগরকান্দা ও সালথা) সঙ্গে যুক্ত করা হয়।