রাত ১১ টার মধ্যে ফল ঘোষণার আশা জাকসু নির্বাচন কমিশনের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনায় ধীরগতির কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও, আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনা শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, 'প্রাথমিক সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠেছি। আশা করছি বিকেলের মধ্যে হলভিত্তিক গণনা শেষ হবে এবং রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করতে পারব।'
প্রথমে ওএমআর মেশিনে গণনার পরিকল্পনা থাকলেও, কিছু প্রার্থীর আবেদনে প্রক্রিয়া বদলে হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাশিদুল আলম বলেন, 'ম্যানুয়াল গণনার যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় শুরুতে ধীরগতিতে কাজ হয়েছে। পরে গতি বেড়েছে।'
সিনেট ভবনে শুরুতে পাঁচটি টেবিলে গণনা চললেও পরে তা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়। প্রতিটি টেবিল সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে। তবে কিছু হলে পোলিং এজেন্টের অনুপস্থিতিতে গণনা বিলম্বিত হয়েছে।
মোট ১০টি ছাত্রী হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থীই ছিলেন না। একক প্রার্থী থাকায় ৬৭টি পদে ভোট হয়নি। শুধুমাত্র ২৪টি পদের জন্য ভোট নেওয়া হয়।
এদিকে ভোটের ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হাবীবা বলেন, "গতকাল সন্ধ্যা থেকে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি। কেউ জানে না কখন ফল আসবে। এতে নির্বাচনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য দুটি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।