রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে সংঘর্ষ: পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে 'নূরাল পাগলা' হিসেবে পরিচিত নুরুল হক মোল্লার দরবার শরীফকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গোয়ালন্দ পৌরসভার আদর্শ গ্রামের ছালামের ছেলে বিল্লু, নতুন পাড়ার (মাল্লাপট্টি) হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, মো. শওকত সরদারের ছেলে মোঃ জীবন সরদার এবং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ডিগ্রিরচর বারখাদা গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন সরদারের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস সরদারকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, 'এ পর্যন্ত ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর 'তৌহিদী জনতা'র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নূরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় নূরাল পাগলার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দরবার শরীফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং নূরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলে উত্তেজিত জনতা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গোয়ালন্দের বাসিন্দা নূরাল পাগলা নিজেকে 'ইমাম মাহদি' দাবি করতেন। সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর ভিন্ন রীতিতে, মাটিতে কিছুটা ওপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটিতে কাবা শরীফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।