এআই দিয়ে ছবি তৈরির দাবি, গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ

বুয়েটের এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর মুখ পুলিশ কর্মকর্তার চেপে ধরার বহুল আলোচিত ছবিটিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) তৈরি বলে দাবি করেছিল। তবে আলোকচিত্রী এবং ছবির মেটাডেটা বিশ্লেষণ এই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানায়, "আমরা সম্পাদক পরিষদের সদস্যরা অবশ্যই এআই-এর বিষয়ে অবগত এবং এআই-সংক্রান্ত কোনো ছবি আমরা পত্রিকায় ছাপালে কাগজে উল্লেখ করে দিই।"
এর আগে ডিএমপির অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'ডিএমপি নিউজ'-এ দাবি করা হয়, রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের এক আন্দোলনকারী ছাত্রের মুখ চেপে ধরার ভাইরাল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। তবে ২৭ আগস্ট ঢাকায় তোলা এই ছবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফটোগ্রাফাররা। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ডিএমপি নিউজ তাদের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলে।

সম্পাদক পরিষদ গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টারও নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, উন্মুক্ত অনুষ্ঠান হওয়ায় একদল লোক হঠাৎ ভেতরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালায়। ডিআরইউ পরে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সম্পাদক পরিষদ ডিআরইউর অবস্থানকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে, যা মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামতও চেয়েছে।
সম্পাদক পরিষদের মতে, "এসব প্রবণতা পূর্ববর্তী সরকারের চিন্তা ও মানসিকতার প্রতিফলন। এ ধরনের পুনরাবৃত্তি পূর্ববর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং একতরফা উদ্যোগের কথা মনে করিয়ে দেয় বলে আমরা মনে করি।" পরিষদ কর্মী সুরক্ষার নামে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করে।