মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেট: ১০০ কোটি টাকা পাচার, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ১০০ কোটি টাকা মানি-লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— স্নিগ্ধা ওভারসিস লিমিটেডের কর্ণধার ও সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী জেসমিন মাসুদ ও মেয়ে তাসনিয়া মাসুদ, আহম্মেদ ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল, এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার ও বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী তার জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠান ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত মোট ৯,৩৭২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। এ সময় সরকার নির্ধারিত ফি ৭৮,৯৯০ টাকার অতিরিক্ত জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া পাসপোর্ট, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ও পোশাক বাবদ জনপ্রতি আরও ৩৬,৫০০ টাকা আদায়ের প্রমাণ মিলেছে।
এসব অনিয়মের মাধ্যমে মোট ১০০ কোটি ৭৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭২০ টাকা মানি-লন্ডারিং বা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালের পরিচালকমণ্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণকারী সিন্ডিকেট সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, সিআইডি লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রায় ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করে।
সিআইডি জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত তদন্তের মাধ্যমে মানি-লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।