সিলেটে প্রশাসনের আল্টিমেটামের পর পাথর ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছেন অনেকে

সিলেটে প্রশাসনের আলটিমেটামের পর নিজ উদ্যোগে সাদা পাথর এলাকায় পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকেই অনেক ব্যবসায়ী নিজ খরচে ট্রাকে করে এসব পাথর সাদাপাথরে পৌঁছে দেন।
সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকার স্টোন ক্রাশার মিল ব্যবসায়ী কাজী ফরহাদ হোসেন বলেন, 'আমি তিন মাস আগে পাথর কিনেছিলাম। এরপর আর কোনো পাথর কিনিনি। তবু জেলা প্রশাসক যেহেতু বলেছেন, তার প্রতি সম্মান রেখে আমার মিলে থাকা সব পাথর সাদা পাথরে ফিরিয়ে দিয়েছি।'
এদিকে, ব্যবসায়ীরা পাথর ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানও চলছে। ফেরত আসা পাথর সাদাপাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খুশনূর রুবাইয়াত জানান, শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০০ ট্রাক পাথর সাদাপাথর এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে। তিনি বলেন, 'ধোপাগুল এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে তাদের সংগ্রহে থাকা পাথর সাদাপাথরে ফিরিয়ে দিয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি তদারকি করছেন।'
এদিকে, পাথর ফেরত দিতে প্রশাসনের মাইকিংসহ প্রচারণা কার্যক্রমও চলছে।
এর আগে শনিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ উদ্যোগে ও খরচে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ের পর কারও কাছে সাদাপাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
শনিবার এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন এবং কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাইকিং করা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারোয়ার আলম জানান, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায় এখনো কিছু পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলো উদ্ধারে শনিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা হয়। সভার পর তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে—মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে যাদের কাছে সাদা পাথর আছে, তারা নিজ খরচে ভোলাগঞ্জে ফিরিয়ে দেবেন। জনপ্রতিনিধিরাও এই কাজে ভূমিকা রাখবেন। তাদের দায়িত্ব হবে নিজেদের এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে পাথর ফেরত নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে মাইকিং করে সবাইকে জানানো হয়েছে। সময়সীমার পর যার কাছে সাদা পাথর পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমনকি নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর পাওয়া যাবে, ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সারোয়ার আলম।