যশোর-৩ ও ৬ আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবে বিএনপির বিক্ষোভ, সিইসিকে স্মারকলিপি

জাতীয় সংসদ আসন ৯০ ও ৮৮—যথাক্রমে যশোর-৬ ও যশোর-৩—এর সীমানা পুনঃনির্ধারণ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে যশোর জেলা বিএনপি।
বুধবার তারা বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয় ঘেরাও করে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে নেতারা সংবাদ সম্মেলনও করেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রস্তাবিত যশোর-৬ আসন বাস্তবায়িত হলে এর অন্তর্ভুক্ত কেশবপুর উপজেলা যশোর-৫ আসনে সংযুক্ত করতে হবে। আর যশোর-৪ আসনে বাঘারপাড়ার সঙ্গে সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে ওই পাঁচ ইউনিয়ন বাদ পড়বে।
এর আগে ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল সিইসির কাছে যশোর-৬ আসনের পুনর্গঠনের দাবিতে লিখিত আবেদন জমা দেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত এলাকা উন্নয়ন বিচ্ছিন্ন এবং যশোর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভক্ত। ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য অভয়নগর উপজেলা, মণিরামপুরের ছয়টি ইউনিয়ন—ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া, দুর্বাডাঙ্গা, নেহালপুর ও মনোহরপুর—এবং কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি, পাঁজিয়া ও গৌরিঘোনা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করা হয়েছে।
ইসি আগামী ২৪ আগস্ট থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে। যশোর-৩ ও যশোর-৬ আসনসহ মোট ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। শুনানি শেষে পর্যালোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
নেতারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতেই যশোরের ছয়টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছে। শুধু ২০০৮ সালের অনির্বাচিত সরকারের সময়ে এর ব্যত্যয় ঘটে। এখন আবার সেই অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা মূলত নির্বাচনে বিলম্ব ঘটানোর ষড়যন্ত্র।
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরোধী কোনো পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না। এর বিরুদ্ধে বিএনপি রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে অবস্থান নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।