ফ্লাইটে বারবার কারিগরি ত্রুটি: বিমানের তদন্ত কমিটি গঠন, ২ কর্মকর্তাকে বদলি

সম্প্রতি কয়েকটি ফ্লাইটে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর তা তদন্তে চার সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাত্রী সুরক্ষা এবং সেবার মান বজায় রাখাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা–আবুধাবি ফ্লাইটে টয়লেট ফ্ল্যাশ সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি প্রতিটি ফ্লাইটের রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড এবং অপারেশনাল প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে মূল কারণ নির্ধারণ করবে। এছাড়া কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অবহেলা ধরা পড়লে দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে জনবল পরিবর্তন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। দুইজন কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন, একজন প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে অন্য একজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিমান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আউট স্টেশনে অতিরিক্ত চাকা মজুদ রাখার ব্যবস্থা করেছে। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত চাকা প্রতিস্থাপন করা যাবে। জেদ্দায় বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পরিচালককে (ফ্লাইট অপারেশনস) দেওয়া হয়েছে।
রাত্রিকালীন বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ শিফট চালু করা হয়েছে এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা চলছে। বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কম্পোনেন্ট সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (সিএসপি) তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে এবং যন্ত্রাংশের মজুদ নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৌশলীদের রি-কারেন্ট প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন অ্যাপ্রেন্টিস মেকানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত জনবল বৃদ্ধি ও দক্ষতা জোরদার করবে। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষা ও আস্থা বজায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।