ধানমন্ডি ৩২-এ ফুল দিতে গিয়ে মারধরের শিকার সেই রিকশাচালক হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে

৪০০ টাকা দিয়ে ফুল কিনে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জুলাই আন্দোলনে আরিফুল ইসলাম নামে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালত আজিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, আজিজুরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে আজিজুরের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বলেন, 'আমরা আদালতে আসামির জামিন চেয়ে আবেদন জমা দেই৷ কিন্তু এই মামলায় একাধিক আইনজীবীর ওকালতনামা জমা হওয়ায় জামিন শুনানি হয়নি। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।'
গতকাল শনিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২-এ ফুল দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আজিজুর। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় আজিজুর বলেছিলেন, 'আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এখানে এসেছিলাম।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।'
আজিজুরকে যে মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। মিছিলে আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে আরিফুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সুস্থ হন।