আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি তিনি বাসসকে বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী নির্বাচন,আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আট লক্ষ সদস্য মোতায়েন সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ।
সংস্থাগুলো হলো–পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এছাড়াও, নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন এমন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনের সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের সুরক্ষার জন্য আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সরকার ৪০ হাজার বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা বা বডি ক্যাম কিনতে যাচ্ছে। ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে ভোটকেন্দ্র থেকে রিয়েল-টাইম আপডেট পেতে ক্যামেরাটি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এদিকে, সরকার শিগগীরই পুলিশের হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৭০০ অস্ত্র উদ্ধারে তথ্য প্রদানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যেগুলো গত বছরের ৫ আগস্টের পর লুট করা হয়েছিল।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনা থেকে মোট ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি লুট করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।
জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে –রাইফেল, সাব-মেশিনগান (এসএমজি), লাইট মেশিনগান (এলএমজি), পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার, টিয়ার গ্যাস শেল, টিয়ার গ্যাস স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেড এবং গুলি।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য সরকার যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ গত ৫ আগস্টের পরপরই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।