রংপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর হত্যায় ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, সড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ

রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনার বিচার দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার (১০ আগস্ট) তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত রূপলালের স্ত্রী। এরপর সন্ধ্যার দিকে লাশ নিয়ে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট বটতলায় ভ্যান চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে ঘনীরমপুর গ্রামের রূপলাল দাস (৪০) ও তার ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস (৩৫) নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে রূপলাল তার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে ভাগনি জামাই প্রদীপকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানে করে ঘনীরমপুর গ্রামে যান।
তারাগঞ্জ-কাজিরহাট সড়কের বটতলায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাদের ভ্যানচোর সন্দেহে আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের কালো ব্যাগ তল্লাশি করা হলে 'স্পিড ক্যানের' বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় এবং কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে বুড়িরহাট এলাকার মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে সন্দেহ বাড়লে রূপলাল ও প্রদীপকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন স্থানীয়রা।
একপর্যায়ে রূপলাল ও প্রদীপের কান দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাদের তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন এবং প্রদীপ লালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠান। সেখানে প্রদীপ লাল ভোর ৪টায় মারা যান।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, "নিহত রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে বিকেলে ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। কিছু আলামত পেয়েছি, সেগুলো যাছাই-বাছাই চলছে।"