ছাত্রদল নেতাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার এক ঘণ্টা পরই খুন হলেন যুবদল কর্মী রনি

শনিবার রাত ১১টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজুকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যুবদল কর্মী রনি হোসাইন। পোস্টে রাজুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তার সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেন রনি।
এর ঘণ্টাখানেক পর রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌরসদরের কদমতলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন রাজু।
নিহত রনি হোসাইন গোলাপগঞ্জের আমুড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, রাজু ও রনি বন্ধু ছিলেন।
ফেসবুক পোস্টে রনি লেখেন, 'এই কুলাঙ্গার দুইটা বাচ্চা রেখে অন্য আরেকজনের বিবাহিত বউ নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরতেছে আর পরকীয়া করতেছে। এর প্রতিবাদ করেছিলাম, এইজন্য ফেক আইডি চালু করে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা প্রচার করছে সে এখন।'
এই লেখার সঙ্গে রাজু ও এক নারীর ছবি আপলোড করেন রনি। এর আগেও একই বিষয়ে একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তিনি।
পুলিশের ধারণা, এ ঘটনার জের ধরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, "রনির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে, তবে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি এবং মামলা হয়নি।"
অভিযুক্ত শেখ রাজুর বক্তব্য জানা যায়নি। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।