নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসিদের বদলি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই লটারির মাধ্যমে এসপি ও ওসির বদলি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন যে ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি ইলেকশনে ভাইটাল রোল প্লে করে থাকে। তাই সবার চেষ্টা থাকে, তার পরিচিত একজন ডিসি, এসপি, ইউএনও বা ওসি নিতে পারে কি না। তাই এসপি এবং ওসির পোস্টিং হবে লটারির মাধ্যমে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে এসপি ও ওসি আমরা লটারির মাধ্যমে পোস্টিং দেবো, এখন যারা আছেন, তাদেরকেই লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হবে।'
আজ (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের মিটিং শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সচিবালয়ে দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, 'গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিছেন, সেখানে বলেছেন নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। তার ধারাবাহিকতায় আজকের এই মিটিং। আজকের মিটিংয়ে ইলেকশনের লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এসপিদের লটারি মন্ত্রণালয়ে হবে এবং ওসিদের লটারি হবে বিভাগীয় পর্যায়ে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই বদলি করা হবে। কারণ তফসিল ঘোষণার পর এসব বিষয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে চলে যায়।'
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের কাজ করে দেবো। পরে কমিশন যদি আরও চেঞ্জ করতে চায়, করতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'ডিসি ও ইউএনওদের বদলির বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে।'
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'ভালোভাবে ইলেকশন করতে আমাদের কত সংখ্যক ফোর্স দরকার হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ফোর্সগুলোকে বডিওর্ন ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা দেবো। এজন্য কি পরিমাণ বডিওর্ন ক্যামেরা লাগবে, সেগুলো কার কাছে থাকবে এবং সেগুলো কীভাবে কেনা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'অন্যান্য সময় প্রিসাইডিং অফিসারদের অনেকে তাদের বাসায় চলে যায়। আবার তারা যাতে নির্ধারিত জায়গায় থাকতে পারে, সেজন্য হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও আনসারও থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, '৪৭ হাজার ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতেই একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। কেন্দ্রের সবচেয়ে সিনিয়র পুলিশ সদস্যকে এটা দেওয়া হবে। সব বাহিনীর ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইসিকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।'
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের বাহিনীগুলোর ট্রেনিংয়ের আমরা একটা মহড়াও দেবো। আনসার থেকে শুরু করে সেনাসদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য নির্বাচনকালীন সময়ে মাঠে মোতায়েন থাকবে। যার যার বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং দেবে নিজ নিজ বাহিনী।'