দেশের মানুষ বোঝেই না, সুতরাং পিআর চিন্তাভাবনা থেকে সরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

দেশের মানুষ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর বোঝেই না, সুতরাং পিআর চিন্তাভাবনা থেকে দূরে সরে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবু'র ৫ম তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
স্মরণসভার আয়োজন করেছে শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ। সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'সমস্যা হলো আমাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) নতুন নতুন চিন্তা আসছে। যেগুলো আমাদের দেশ পরিচিত নয়। পার্লামেন্টে আনুপাতিক হারে নির্বাচন। এটা আমাদের দেশের মানুষ বোঝেই না। সুতরাং পিআর চিন্তাভাবনা থেকে দূরে সরে যেতে হবে।'
বেদনায় নীল হয়ে যাচ্ছি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আমরা রাজনীতি করতে এসেছিলাম একটা পরিবর্তনের জন্য। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ১৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেল, হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিল। জুলাই মাসে প্রায় দুই হাজার প্রাণ দিল তার মূল্যটা কি? দাম কি?'
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আজকে খবরের কাগজে দেখলাম ১২ টি মৌলিক বিষয়ের পরিবর্তনে সবগুলো দল একমত হয়েছে। এজন্য আমি ড. আলী রিয়াজকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদেরকে অনেকে খোঁটা দেয় আমরা নাকি সংস্কার চাই না। কিন্তু, সংস্কারের চিন্তাটাই তো আমাদের। সংস্কারের শুরুটা হয়েছে আমাদের দিয়ে। আমরা সংস্কারকে ভয় পাইনা, আমরা সংস্কারকে স্বাগত জানাই।'
পিআর পদ্ধতি দাবি জানানো রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'কিছু রাজনৈতিক দল এটাকে (পিআর) প্রমোট করে। তারা পণ করে বসে আছে, এটা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাব না।'
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- অবিলম্বে দেশের সংস্কারগুলো শেষ করুন এবং সনদ ঘোষণা করুন। আর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেই সময়টার মধ্যে নির্বাচন দেন। মানুষকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।