সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালতের

বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন ও স্বেচ্ছায় আঘাত করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, আশিকুর রহমান তানভীর (১৯), জেফরী অভিষেক সিকদার (২১), আবু সুফিয়ান (২১) ও মো. শাকিল মিয়া (১৯)।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন খান ও তাহমিনা আক্তার লিজা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানাধীন এলাকায় থেকে আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ও স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতকারীরা মাইলস্টোনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি পালন করে।
প্রথমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা ভবনের উদ্দেশে মার্চ করলেও পরবর্তীতে শিক্ষা ভবন থেকে বের হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে তারা বেআইনিভাবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের মেইন গেটের সামনে এসে দাঙ্গা সৃষ্টি করে এবং গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তাদের বাধা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন। এসময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।
ওই ঘটনায় গত ২২ জুলাই সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিদর্শক গোলাম মুক্তি মাহমুদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।