রাজশাহীতে পৌঁছেছে পাইলট তৌকিরের মরদেহ, দ্বিতীয় জানাজার পর দাফন সম্পন্ন

ঢাকার মাইলস্টোন কলেজ সংলগ্ন দিয়াবাড়ি এলাকায় গতকাল (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারানো ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।
তৌকিরের দাদা আজিজুর রহমান জানান, আজ (২২ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে মরদেহ রাজশাহীতে আনা হয়।
দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পারিবারিক বাসায়। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের পর তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে। সেখানে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজার পর সপুড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তরুণ এই পাইলটের মৃত্যুর খবরে রাজশাহীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকাল থেকেই আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা পরিবারটির বাসায় এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে তৌকিরের জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিএএফ বেইস বীর উত্তম একে খন্দকার থেকে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানে উড়াল দেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আজ সকালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে, যাদের অধিকাংশই শিশু।
তবে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে যা বলা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার শেষ মুহূর্তে তৌকির প্যারাসুট ব্যবহার করে বিমান থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু পরবর্তীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।