এই সরকারের পক্ষে আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না, কোনো কোনো মহল প্রশ্ন তুলছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় কেউ কেউ দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কি না—এনিয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা রয়েছে। এই সরকারের পক্ষে আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না—কোনো কোনো মহল থেকে এ ধরনের প্রশ্ন উপস্থাপন বোধ হয় এখন আর বিচ্ছিন্ন বক্তব্য হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত কিছু নৃশংস ঘটনা জনমনে অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, 'জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে দেশে এমন এক নির্বাচনি ব্যবস্থা থাকা জরুরি, যেখানে প্রতিটি ভোটার নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। দেশে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে আমাদের কোনো আয়োজনই কিন্তু কাজে আসবে না, টেকসই হবে না।'
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও সাহসী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণ আপনাদের (সরকার) পাশে থাকবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পাশে থাকবে, যদি আপনাদের ভূমিকা আরও স্বচ্ছ এবং সাহসী হয়।'
গণতন্ত্রে উত্তরণে দেশবাসীর কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে তারেক রহমান বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কোনো আবেগতাড়িত এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।'
তরেক রহমান আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা জাতির গৌরব। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো সম্ভব। আর তা শুরু হবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। সেজন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, বিএনপির জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক এবং দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু হোরায়রা, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজনরা সহ আরও অনেকে।