মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার তদন্তে কমিটি গঠন করবে বিএনপি

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যার কারণ খুঁজতে 'তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি' গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে 'জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি' পালনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় এ কথা জানানো হয়।
বিএনপি জানায়, 'নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে, আমরা উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি 'তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি' গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন।'
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। সদস্য খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।