ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ অর্ধেক হয়েছে: সিইসি

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ অর্ধেক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আমরা করেছি ১৫ বছর ধরে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ আমি মনে করি অর্ধেক করেছি। যেদিন ভোটার নিজের উদ্যোগে, নির্ভয়ে তার পছন্দের প্রর্থীকে ভোট দিতে পারবে তখন মনে করব ভোটের অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব পালনের।
সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি (আরএফডি) আয়োজিত ফল উৎসব ও সাংবাদিক এক্সেস কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আমরা করেছি ১৫ বছর ধরে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব পালনের। এখন আমাদের বার্তা হবে: ভোট দিন, নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। এ দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
ভোটের তারিখ দুই মাস আগে জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে কমপক্ষে দুই মাস আগেই সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন দিন ভোট, কোন দিন মনোনয়ন, সমস্ত ডিটেইলসহ।'
তিনি বলেন, '২০১৮ সালের মতো অভিযোগ আর যেন না ওঠে। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসার, সব কর্মকর্তাদের বলব এটা ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। প্রমাণ করুন, আমরা পারি। যেমন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পেরেছিলাম, এবারও পারব।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বারবার প্রমাণ করেছি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পেরেছিলাম। এবারও পারব ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব – মানুষের শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। ভাবমূর্তি রক্ষা ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন এসেছে।'
সিইসি বলেন, গত কয়েকটি নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
সাংবাদিকেকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার সহকর্মী প্রসাসনের হোক পুলিশের হোক, অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হোক, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোট কথা ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের কাছে আবেদন থাকবে আমরা সবাই মিলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করব।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, 'আমরা বারবার প্রমাণ করেছি, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পেরেছিলাম। এবারও আমরা পারব , আমাদের পারতেই হবে। ইনশাল্লাহ সেভাবে আমরা প্রমাণ করে ছাড়ব। আমাদের এই ক্যাপাবিলিটি আছে, এই সক্ষমতা আমাদের আছে এবং আমরা চাইলে এটা করতে পারি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এই যে প্রশাসনের যে ইমেজ যে ক্ষুন্ন হয়েছে, এদের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য এটাই হচ্ছে সুযোগ।'
সিইসি বলেন, 'আমার সহকর্মী যারা এই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের কাছে করজোড়ে আবেদন জানাব যে আপনারা মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করুন। যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সেটা থেকে আপনারা ফিরে আসুন। আমরা প্রমাণ করতে চাই যে আমরা পারি, সরকারি কর্মচারীরা পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারে, যদি তারা সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়।'
অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারও (ইসি) উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএফইডি'র সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল) সঞ্চালনায় করছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।