যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা চরের দল: সালাহউদ্দিন

যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা একটি চরের দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৫ জুলাই) কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত 'যথা সময়ে সংস্কার ও দ্রুত সময়ে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ'-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'যখন সংস্কারের কথা বলছি, যখন বিচারের কথা বলছি, অনেকে বলছেন বিএনপি সংস্কার চায় না। বিএনপি বিচার বিলম্বিত করতে চায়। বিএনপি নাকি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছে। কথাগুলো যারা বলছেন, তারা নির্বাচনে আসলে জামানত হারাবেন। তারা আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বলছেন, তারাই এসব বয়ান দিচ্ছেন। তারা বয়ান দিচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ আনুপাতিক নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, যারা ১৪ দলের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, তারাই এখন সংস্কার কমিশনে এসে বড় বড় কথা বলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা একটি চরের দল। তারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল।
গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ নির্মাণের আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি এও বলেন, 'কেউ যদি সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও সংগ্রাম করবে বিএনপি।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'আমরা সবাই সুখের দিনে দাঁড়িয়ে আছি। দুঃখের দিনের কথা আমরা ভুলে গিয়েছি। আমরা ভুলে গিয়েছি আয়না ঘরের কথা, আমরা ভুলে গিয়েছি আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়ন দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসন, অত্যাচারের কথা।'
তিনি বলেন, 'আমরা এখন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছি। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভিন্নভাবে বিভক্তি সৃষ্টি করার প্রয়াস চলছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার একটা চর্চা চলছে, এটি আরেকটি ষড়যন্ত্র।'
তিনি আরও বলেন, 'দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে কথা বললে একটি পক্ষ নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ কথা বলার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা ব্যক্তির বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রেস অব ফ্রিডম প্রতিষ্ঠিত করেছি। যে যার মতো করে কথা বলছি, জবাবদিহি নাই। কী বলতে চাচ্ছি, তাতে দেশের কী ক্ষতি হচ্ছে? উপকার হচ্ছে, গণতন্ত্রের পক্ষে যাচ্ছে কি না, সেগুলো আমরা বিচার করছি না। এটা ভালো লক্ষণ নয়।'