আনিসুল-সালমান-দীপু মনিসহ ৫ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মো. সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং ছাত্রলীগ নেতা রাজা বাদশা পিচ্চি রাজাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর কাফরুল থানায় মো. আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এসব মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
সকালে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে তাদের পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসে তোলা হয় এবং পাঁচ মিনিট পর বিচারক এজলাসে এসে শুনানি শুরু করেন। শুনানি শেষে ১০টা ২০ মিনিটে আবারও তাদের কঠোর নিরাপত্তায় সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মোহাম্মদপুর থানার সোহেল রানা হত্যাচেষ্টা মামলায় আনিসুল হকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে, কাফরুল থানার আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় এনএম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল মামুন। আদালত শুনানি শেষে দুটি মামলার গ্রেপ্তার আবেদনই মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সোহেল রানা হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ে আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী সোহেল রানা। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় অভিযুক্তদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। এ ঘটনায় গত ১১ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ২২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে কাফরুল থানাধীন বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী আহসান হাবীব কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।