দুই দিন বিরতির পর ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়।
আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি), জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন কাঠামো, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং নারী প্রতিনিধিত্ব।
আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, 'আমরা আশা করছি আজকের আলোচনায় অগ্রগতি হবে। ভাঙা রেকর্ডের মতো আবারও বলি, আক্ষরিক অর্থে রক্তের ওপর পা দিয়ে আমাদের এখানে আসতে হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'রাষ্ট্রের স্বার্থ ও জাতির স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সবাই যেন অগ্রসর হতে পারি, সেটা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।'
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
এর আগে, গত ৩ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের বৈঠকে ৩৩টি দল অংশ নেয়। দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে (১৭ জুন) অংশ নেয় ২৯টি দল। এরপর ১৮ জুন তৃতীয় দিনের এবং ১৯ জুন চতুর্থ দিনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এখন পর্যন্ত ৫০টি অধিবেশনে মাত্র ২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারে অর্থবিল ও আস্থাবিল ব্যতীত সাংসদরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। তবে এখানেও নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে রেখেছে বিএনপি। দলটির বক্তব্য ক্ষমতায় আসলে তারা সংবিধান সংশোধনী ও জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) বিষয়টিও ৭০ অনুচ্ছেদে যুক্ত করবে।
এছাড়া ৪টি স্থায়ী সংসদীয় কমিটি পাবলিক একাউন্টস, প্রিভিলেজ, এস্টিমেট ও আন্ডারটেকিংস তে বিরোধী দল থেকে সভাপতি মনোনয়ন দিতে হবে। তবে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল আরো কমিটিতে বিরোধীদলের আসন অনুপাতে সভাপতি মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে।
এর বাইরে, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন ও নারী আসনের সংখ্যা নিয়ে নীতিগত একমত হলেও এর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে, আলোচনা চলমান রয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে পরিবর্তন নিয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কয়েকটি দলের কারণে নীতিগত ঐকমত্য আসেনি।