ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরিণতি অতীতের মতোই হবে: জামায়াত নেতা তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন করে আর কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই একমাত্র পথ।'
শনিবার (২১ জুন) সকাল ১০টায় বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বায়িত্বশীল সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেউ যদি আবার ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে তাদের পরিণতি অতীতের মতোই হবে। ষড়যন্ত্রমূলক কোনো নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না।'
দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, 'আমরা চাই দেশে লোয়ার হাউস ও আপার হাউস নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠিত হোক। আপার হাউস নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে এবং কেউ দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।'
তাহের আরও বলেন, 'দেশ ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হচ্ছে, জনগণের মধ্যে আশাবাদী আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। তবে অতীতের মৌলিক সংস্কারগুলো এখনও হয়নি, যা পরিবর্তনের পথে বড় অন্তরায়। পৃথিবীর কোনো দেশই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত নয়, বাংলাদেশকেও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মাথায় রেখে সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।'
সভা থেকে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনে একযোগে প্রার্থী ঘোষণা করে জামায়াত। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী।
এছাড়া দলের হেভিওয়েট নেতা মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ এবং ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালী-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন:
বরিশাল জেলা: বরিশাল-১: মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২: মাস্টার আব্দুল মান্নান, বরিশাল-৩: জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর, বরিশাল-৪: মাওলানা আব্দুল জব্বার, বরিশাল-৫: মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।
বরগুনা জেলা: বরগুনা-১: মহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২: ডা. সুলতান আহমদ।
পটুয়াখালী জেলা: পটুয়াখালী-১: নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩: অধ্যাপক শাহ আলম, পটুয়াখালী-৪: এম. কাইউম।
ভোলা জেলা: ভোলা-১: মো. নজরুল ইসলাম, ভোলা-২: মাওলানা ফজলুল করিম, ভোলা-৩: মাওলানা আব্দুল হক, ভোলা-৪: মোস্তফা কামাল।
ঝালকাঠি জেলা: ঝালকাঠি-১: হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি-২: শেখ নেয়ামুল করিম।
পিরোজপুর জেলা: পিরোজপুর-১: মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২: শামীম সাঈদী, পিরোজপুর-৩: শরীফ আব্দুল জলিল।
জেলা ও মহানগর জামায়াতের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল জব্বার, পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ, ঝালকাঠি জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, ভোলা জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান ও বরগুনা জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মহিব্বুল্লাহ হারুন।