জামায়াতকে বেশি বক্তব্য দিতে দেওয়ার প্রতিবাদে সিপিবি-গণফোরামের ওয়াক আউট

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের তুলনামূলকভাবে বেশি সময় বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গণফোরামের নেতারা। তবে মিনিট দশেক পর তারা আবার সংলাপে ফিরে যান।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আবারও বিকেল পৌনে ৩টায় আলোচনা শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সংলাপ কক্ষ ত্যাগ করেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির নিচতলায় সাংবাদিকদের রুহিন হোসেন বলেন, 'এখানে বৈষম্য হচ্ছে। জামায়াতের তিনজনকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের একজন প্রতিনিধি কথা বলতে গেলেও বাধার মুখে পড়ছেন। আমরা প্রতিবাদ করেছি, কমিশন তা নোট করেছে। তাই সংলাপে আমরা আবার যোগ দিচ্ছি।'
এর আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। যদি তারা নিরপেক্ষ না থাকে, তবে আমরা সংলাপে অংশ নেব না।'
তবে সিপিবি ও গণফোরামের নেতাদের আবার সংলাপে ফিরিয়ে আনতে নিচে নেমে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিএনপিপন্থী দল বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহছান হুদা।
ওই সময় শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, 'ওনারা জামায়াত বলে আপত্তি করছেন। অথচ আপনারা তো দশজন মানুষেরও প্রতিনিধিত্ব করেন না। আমরা কতজন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি, তা ভাবুন।' তিনি আরও বলেন, 'আমি ওয়াকআউট করিনি, বরং সমঝোতা হয়েছে।' পরে উভয় দলই সংলাপে ফিরে যায়।
এদিকে জামায়াতকে বেশি সময় দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ বলেন, 'কখনো কখনো একটু ভিন্নমত থাকবে। সকল রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। ঘড়ি ধরে তো আর সময় হিসেব করা হয়না। ফলে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবে। আমরা সেটা নোট নিয়েছি।'