চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ ৪ দিন ধরে অকেজো, দুর্ভোগে যাত্রীরা

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে একটি গত চার দিন ধরে অকেজো। এর ফলে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের টার্মিনালে পৌঁছাতে বা তাদের ফ্লাইটে উঠতে প্রচণ্ড রোদের মধ্যেও হেঁটে যেতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক টার্মিনালের ৪ নম্বর গেটে অবস্থিত সেতুটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় যাত্রীদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে।
বর্তমানে দুটি ওয়াইড-বডি বিমান একই সময়ে আসলে একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা ৫ নম্বর গেটে অবস্থিত একমাত্র কার্যকর সেতুটি ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যদিকে, অন্য ফ্লাইটের যাত্রীরা টার্মিনাল ভবনে হেঁটে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হন।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'উভয় বোর্ডিং ব্রিজই ২০০১ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। নিয়মিত মেরামতের মাধ্যমে এগুলো সচল রাখা হয়। একটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে থাকলে অন্যটি কার্যকর থাকে। বর্তমানে ৪ নম্বর গেটের সেতুটি অকেজো, তবে ৫ নম্বর গেটের একটি ব্যবহার করা হচ্ছে।'
তিনি আরও জানান, গেট ৬-এ প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন বোর্ডিং ব্রিজের স্থাপনের কাজ চলছে এবং আগস্ট মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা অনুসারে অদূর ভবিষ্যতে দুটি নতুন বোর্ডিং ব্রিজ কেনার পরিকল্পনা করছে।
তবে যাত্রীরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
একজন ভ্রমণকারী বলেন, 'দীর্ঘ ফ্লাইটের পর এই গরমে টার্মিনালে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা খুবই কষ্টকর।'
১৭ জুন থেকে হজ ফিরতি ফ্লাইট আসা শুরু হওয়ার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পাশাপাশি এই দুটি সেতু বৃহৎ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
একটি সেতু অকার্যকর হওয়ায়, পুরো বোঝা এখন একমাত্র কার্যকরী সেতুর ওপর পড়ছে।