ভোটারদের নিয়ে শপথ পড়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

সরকারের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে মেয়রের চেয়ার দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এসময় ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিক্ষোভ আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণাও দেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, "এই নগর ভবন বিগত তিন সপ্তাহ আমাদেরই নিয়ন্ত্রণে ছিল, আমরাই নিয়ন্ত্রণ রেখেছি, আমরাই দখলে রেখেছি। এই শপথ যদি না পড়ায়– আমি নিজেই গিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসতে পারি, ২ মিনিটও লাগবে না।"
তিনি বলেন, "ঢাকাবাসী আমাকে বারবার অনুরোধ করেছেন, কেন আমি ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে শহীন মিনারে গিয়ে শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছি না। তখন আমরা বলেছি, যেহেতু আমরা একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সেহেতু আমাদের দল থেকে বিশেষ করে সালাহউদ্দিন আহমেদসহ আমাদের আইনজীবীরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেছেন। কারণ আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী, আমরা চাই না কোনো বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক।"

ইশরাক বলেন, "আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করেন তাহলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভোটারদেরকে সাথে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমি আমার চেয়ার দখল করবো এবং নগর ভবন কীভাবে চলবে সেটা ঢাকাবাসী নির্ধারণ করবে। কোনো বহিরাগত উপদেষ্টা, বহিরাগত কোনো প্রশাসককে এই নগর ভবন পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। এটাই আমাদের শেষ কথা, এটাই আমাদের শেষ বার্তা।"
তিনি বলেন, "আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে—নগর ভবন অবরোধ ও ঘেরাও এর যে কর্মসূচি সেটাকে কিছুটা শিথিল এবং কিছুটা বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছুটির পরে শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।"
ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৪ মে থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। 'ঢাকাবাসী' ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার কর্মসূচি চলছে।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে ইশরাক–সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারাও অঘোষিত ছুটিতে আছেন। ফটকগুলো তালাবদ্ধ থাকায় কর্মকর্তারা অফিসে আসছেন না। দাপ্তরিক কাজ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শুধু পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কাজ চলছে।