গাজীপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতি; ১০ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ টাকা লুট

আজ (৩১ মে) দিবাগত রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেঙ্গারবান্দ গ্রামে রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবিদা সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাত দিবাগত ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ১০-১২ জনের মুখোশধারী একটি দল জানালার গ্রিল কেটে ওই তিনতলা বাড়িতে প্রবেশ করে।
তারা আবিদা সুলতানার বাবা নাজমুল আলমের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ছুরির মুখে তাকে ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।
বাড়িতে শুধু নাজমুল ও তার স্ত্রী বাস করেন।
ডাকাতেরা তিনতলা ভবনের প্রতিটি তলায় মালপত্র তছনছ করে। তারা টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের কাছে দেশি ধারালো অস্ত্র ছিল।
নাজমুল সাংবাদিকদের বলেন, 'রাত তিনটার দিকে তারা জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢোকে। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা আমাদের বেঁধে দেশি ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। ডাকাতরা ঘরে থাকা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।'
ডাকাতির পর তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, 'একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, 'বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। শুনেছি কয়েকদিন আগেও কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ওই বাড়িতে একটি সরকারি সংস্থার পরিচয়ে গিয়েছিল। সব বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে কাজ চলছে।'
সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানা বর্তমানে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) অবস্থায় আছেন।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, কয়েকদিন আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদস্য পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ওই বাড়িতে দুদক গিয়েছিল। তারা কারা বা আসলেই দুদক সদস্য ছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।