লক্ষ্মীপুর: জোয়ারে ভেসে গেছে শতাধিক গবাদি পশু, মেঘনায় ভাসছে পশুর মৃতদেহ

মেঘনা নদীর পূর্বতীরের লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন চরে শতশত পশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া, জেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর পানিতে ভাসছে বহু পশুর মৃতদেহ।
স্থানীয়দের ধারণা বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এবং মেঘনা নদীর প্রবল জোয়ারে নদীর বিভিন্ন চরের এসব প্রাণী পানিতে ভেসে মারা গেছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর নবীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, নাসিরগঞ্জ এলাকার নদীপাড়ে গিয়ে ৮টি মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। যার মধ্যে মহিষ ২টি এবং ৬টি গরু।
চর লরেঞ্চ এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল কাদের জানান, সকালে নদীপাড়ে ঘুরে তিনি ৫০টি গরু, ছাগল ও মহিষের মৃতদেহ ভেসে যেতে দেখেছেন।
একই এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ জানান, সকাল ১০টার দিকে তিনি কটরিয়া খালের কাছে তিনি ৯টি গরুর মৃতদেহ দেখেছেন।

চর ফলকন এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান জানান, দুপুরের পরে জোয়ারের পানিতে তিনি ২৬টি পশুর মৃতদেহ ভেসে যেতে দেখেছেন।
নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল জানান, চর কাকঁড়ায় তার ১৩টি মহিষ ছিল, যার মধ্যে ৫টি নিখোঁজ রয়েছে।
ইসমাইল চর কাকঁড়ার বাথানদের (রাখাল) বরাত দিয়ে জানান, শুধু লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন চরের অন্তত দুই শতাধিক পশু নিখোঁজ রয়েছে।
রামগতি উপজেলার দ্বীপচর তেলিয়ারচরের বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিন জানান, তেলিয়ারচর এবং চর আবদুল্লাহ'র শতশত পশু জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। তবে ২/৩ দিন পর পশু নিখোঁজের প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

চর আবদুল্লাহর বাসিন্দা মো. বেলাল জানান, তার এলাকার দুইজন কৃষকের ৭টি গরু মহিষ ও ছাগল মারা গেছে।
এসব বিষয় জানার জন্য চেষ্টা করেও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাতুজ্জ জামান জানান, 'মেঘনায় পশুর মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার খবর আমরা জেনেছি। তবে এগুলো কোন এলাকার তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।'
লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল বলেন, দূর্যোগে লক্ষ্মীপুর জেলায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে পশু নিখোঁজ বা মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।