মগবাজারের হোটেল রুমে একই পরিবারের ৩ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলের রুম থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বেপারী বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৮) ও তাদের ছেলে আরাফাত হোসেন নাইম (১৮)।
রোববার (২৯ জুন) সকালে মগবাজারের 'সুইট ড্রিম' নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে তারা মারা যেতে পারেন। তবে সঠিক কারণ জানতে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।'
ডিসি মাসুদ জানান, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পরিবারটি শনিবার লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় আসে। চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পেয়ে রাতে হোটেলটিতে অবস্থান করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, 'আজ সকালে মনির হোসেন তার স্বজনদের ফোন করে জানান যে, তারা তিনজনই অসুস্থ বোধ করছেন এবং বমি করছেন। স্বজনরা দ্রুত হোটেলে গিয়ে পুলিশকে খবর দেন।'
পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বপ্না বেগম ও আরাফাত হোসেন নাইম হোটেল রুমেই মারা যান। মনির হোসেনকে উদ্ধার করে পাশের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আইসিইউতে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহত মনির হোসেনের প্রতিবেশী মহিউদ্দিন জানান, মনির তার প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। শনিবার রাতে চিকিৎসা শেষে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশের 'সুইট ড্রিম' হোটেলে অবস্থান করেন। রাত ১১টার দিকে পরিবারের তিন সদস্য একসঙ্গে রাতের খাবার খান। এরপরই তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়।
ভোলাকোট ইউনিয়নের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকাবাসীর ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।