১১,৪৪৮ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে দাবি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। বরং এ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠিত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে কমিটির কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
এখন পর্যন্ত ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলাকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক হিসেবে চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনো চলমান।
কমিটি জেলা পর্যায়ের কমিটি ও সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাওয়া মামলা-সংক্রান্ত তালিকা ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে এসব সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজ নিজ পক্ষ থেকে হয়রানিমূলক মামলার তালিকা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা প্রদান করে। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের পাঠানো তালিকার সাথে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশীট) প্রেরণ না করায় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা প্রদান করেছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সকল মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশীট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির নিকট অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হয়েছে।