সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে: তারেক

সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তারেক বলেন, 'জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জণগণের।'
ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।'
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, '৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, সেভাবেই পালিয়ে গেছেন আবদুল হামিদ। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে যে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি তার এই দেশত্যাগের ব্যাপারে কিছুই জানে না। ঘটনাটি গতকালকের। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যতজন মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রত্যেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার কী জানে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এখনো সহযোগিতা-সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু যদি আমরা খেয়াল করে দেখি, বিভিন্ন কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে কি না, এ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।'
বিএনপির এই নেতা বলেন, '২০১৩ সালে র্যাব সদস্যরা ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে গুম করে। আজ পর্যন্ত আমাদের এই সহকর্মীর হদিস পাইনি। স্বৈরাচারের শাসনকালে সারা বাংলাদেশে এরকম অসংখ্য সুমনদের গুম-খুন-অপহরণ করা হয়েছিল।'
নির্বাচিত সরকারকে জনগণের প্রতি মুখাপেক্ষী করে দেওয়া গেলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন টেকসই হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিতের অন্যতম পূর্বশর্ত জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা।'