ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে

চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোবৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।টি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে চীনা কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত ৩০ এপ্রিল নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ৬ মে চীনা কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যগুলো সরবরাহ করে। তথ্যগুলো যাচাই করে শিগগিরই হল নির্মাণের কাজ শুরু করবে চীনা কর্তৃপক্ষ।
বলা হয়, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ হাজার ৫০০ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। গত ১১ মার্চ প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পটি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কয়েক দফায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া, উপাচার্য এসব প্রকল্পের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগমের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ২ হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছাত্রীদের জন্য আরও ৪টি হল, ছাত্রদের জন্য ৫টি হলসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৩ হাজার ছাত্রী এবং ৫ হাজার ১০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা হবে।
আরও বলা হয়েছে, একই সঙ্গে ১৫১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহের সংস্কার, সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় অতি পুরাতন জরাজীর্ণ ১৬৮টি ভবনের সংস্কার করা হবে।