আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা: ‘গ্রেপ্তার এড়াতে’ আত্মগোপনে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি হত্যা মামলার আসামি শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
মাসুদুর গত ২৪ এপ্রিল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছেন পালং থানায় তার সহকর্মীরা।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে মাসুদুর আত্মগোপনে চলে গেছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর উপকণ্ঠে আশুলিয়ায় ছয় যুবককে হত্যা এবং পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন মাসুদুর। ২৯ এপ্রিল এই মামলা আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকার দুই নম্বরে ছিল। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল ওই দিন। তবে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে।
জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডকে বলেন, পরিদর্শক মাসুদুর ১০ দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
'তবে তিনি কোথায় আছেন, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে প্রতিবেদন আকারে জানানো হয়েছে,' বলেন তিনি।
রোববার পালং মডেল থানায় গিয়ে এই প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানের ব্যবহৃত কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। তার ব্যক্তিগত ও সরকারি ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার নথি অনুযায়ী, আশুলিয়ার হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় মাসুদুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মাসুদুর তখন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর তাকে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে বদলি করা হয়। তিনি গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশে যোগদান করেন।
মাসুদুরের অনুপস্থিতির কথা স্বীকার করে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, চলে যাওয়ার সময় মাসুদার তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।