টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও পাবেন উচ্চতর গ্রেড: আপিল বিভাগ

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে একই পদে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকেন, তবে তিনিও উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনরত জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট রায় সংশোধন করে এই রায় দেন।
এর ফলে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পাওয়া প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে আর কোনো আইনি বাধার মুখে পড়বেন না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন এবং আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল।
রায়ের পর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের জানান, 'স্পষ্টীকরণ–সংক্রান্ত পরিপত্রের প্যারা-গ' অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে 'জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫'-এর উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত প্যারা-৭ বহাল থাকল। ফলে ২০১৫ সালের আগে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পাওয়া কর্মচারীরা দুটি উচ্চতর গ্রেড পেতে পারবেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর 'জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ স্পষ্টীকরণ' শীর্ষক একটি পরিপত্র জারি করে সরকার। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন সরকারি চাকরিজীবী রিট করেন, যার প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের অনুমতি চেয়ে 'লিভ টু আপিল' করে। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আপিল ও লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ এই রায় দেয়।